১৩ মার্চ পাবনার সয়ঘোরিয়া গ্রামে ২২ বছর বয়সী এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধারের পর আজ (১৭ মার্চ) পুলিশ জানায়, টাকার জের ধরে তাকে তার বন্ধুরা খুন করেছে।
আজাদ হোসেনকে তার বন্ধু আব্দুস সামাদ, যিনি সোমরাত নামেও পরিচিত, তাকে হত্যা করার পর তাকে হত্যা করা হয়েছিল, পুলিশ বলেছে যে হত্যাকাণ্ড গোপন করার চেষ্টায়, লাশটি একটি লিচু বাগানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
উপ-পুলিশ প্রধান মাসুদ আলম জানান, ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আজাদ তার মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। গত ১২ মার্চ বিকেলে তার বাবা আব্দুল হাকিম পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
১৩ মার্চ দাপনিয়া ইউনিয়নের সয়গুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যান মোশাররফের খামারের পাশে লিচু বাগানে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে নিহতের বাবা আব্দুল হাকিমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়।
সদর থানা ও ডিবির যৌথ দল গতকাল (১৬ মার্চ) বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সোমরাতকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সোমরাত তার বন্ধু আজাদকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমরাত ও আজাদ ছিল ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একসঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। এক মাস আগে সোমরাত আজাদের মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার পর আজাদকে মোটরসাইকেল মেরামত করতে দুই হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
সোমরাত সেখান থেকে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে বাকি এক হাজার টাকা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে অভিযুক্ত সোমরাত তার বন্ধু আজাদকে হত্যার সুযোগ খুঁজছিল।
১১ মার্চ রাত ৮টার দিকে সোমরাত তার বন্ধু আজাদকে ডেকে চেয়ারম্যান মোশাররফের খামারের পাশের লিচু বাগানে আসেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোমরাত ধারালো ছুরি দিয়ে আজাদের গলায় ও চোখে আঘাত করে।
মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শুকনো পাতার নিচে লাশ টেনে আনেন।
গতকাল বিকেলে সোমরাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।